by কৃষিবিদ নার্সারী on Sat Jun 14 2025
করোসল পাতা ক্যান্সার চিকিৎসায় সহায়ক প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও এটি কোনো প্রতিস্থাপনযোগ্য ওষুধ নয়, তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে এর নির্যাস কিছু নির্দিষ্ট উপায়ে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
✅ ১. অ্যাসিটোজেনিন (Annonaceous Acetogenins) নামক যৌগ
করোসল পাতায় অ্যাসিটোজেনিন (acetogenins) নামে একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক যৌগ থাকে, যা:
ক্যান্সার কোষের ATP উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, অর্থাৎ শক্তির উৎস কেটে দেয়।
এতে ক্যান্সার কোষগুলো দুর্বল হয়ে মারা যেতে থাকে, কিন্তু আশেপাশের সুস্থ কোষ ততটা প্রভাবিত হয় না।
✅ ২. কোষ বিভাজন (Cell Division) থামায়
করোসল পাতার নির্যাস ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনকে থামায়, যার ফলে টিউমার বা ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়া ধীর বা রোধ হয়।
✅ ৩. অ্যাপোপটোসিস (Apoptosis) উদ্দীপনা করে
অ্যাপোপটোসিস মানে হলো কোষের প্রাকৃতিক মৃত্যু প্রক্রিয়া। করোসল পাতার উপাদান ক্যান্সার কোষে এই প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারে, যার ফলে ক্যান্সার কোষ স্বাভাবিকভাবে মারা যায়।
✅ ৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ
পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে, যা ক্যান্সার কোষ গঠনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে নতুন ক্যান্সার কোষ গঠনের ঝুঁকি কমে।
✅ ৫. কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সহায়ক
অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেন, করোসল পাতা খেলে কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন দুর্বলতা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি কিছুটা কম অনুভূত হয়।
🟡 গবেষণার অবস্থা ও সতর্কতা
করোসল পাতার উপকারিতা এখনো অনেকাংশে ল্যাবরেটরি ও প্রাণীতে সীমাবদ্ধ গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত।
মানবদেহে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, তবে অনেক প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এটি বিকল্প বা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
⚠️ সতর্কতা:
উচ্চ মাত্রায় গ্রহণে নিউরোলজিক সমস্যা হতে পারে।
গর্ভবতী ও শিশুরা গ্রহণ করলে ঝুঁকি থাকতে পারে।
সবসময় একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা উচিত।
কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।